News Update

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধে সয়লাব উত্তরাঞ্চল ॥ জাল দলিল তৈরির ঘটনায় ৩জন আটক ঃ দলিল লেখকসহ ২জন পলাতক ॥ পারভেজ খানের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া ঃ নামাযে জানাযায় মানুষের ঢল ॥ পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ‘সাগর বিলাস’ বাসভবন ঘেরাও ॥ চারালকাটা নদীর তলদেশ থেকে ঃ বিশাল আকৃতির বট গাছ উদ্ধার ॥ ডোমার এলজিইডি প্রকৌশলী’র টেন্ডার ঃ বাণিজ্য, সরকারের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন সৈয়দপুরে ৩টি শ্যালো মেশিন ও পিভিসি পাইপ জব্দ

জুয়েল বসুনীয়া,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : সৈয়দপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সমতল ভূমি কেটে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত শ্যালো মেশিন (খননযন্ত্র) ও পাইপ জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথমে শহরের পশ্চিম প্রান্ত কুন্দল দিয়ে প্রবাহিত খড়খড়িয়া নদী এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার খবর আগেভাগে পেয়ে খড়খড়িয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন কাজে জড়িত ব্যক্তিরা সটকে পড়ে।পরে উপজেলার ৩ নম্বর বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার খবর পেয়ে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতরা আগেভাগেই কেটে পড়ে। এ সময় সেখানে সমতল ভূমি কেটে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ৩টি শ্যালো মেশিন ও ৮০ ফুট পিভিসি পাইপ জব্দ করা হয়। পরে সে গুলো উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.শফিকুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বিভাগের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.মমিনুল ইসলাম, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান মনির ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মো. শাহাজাদা সরকার।উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট এলাকার এক শ্রেণীর অর্থলোভী ব্যক্তি নিজের প্রভাব খাটিয়ে সৈয়দপুর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত খড়খড়িয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে ডেজর মেশিন লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের আব্দুস্ সামাদ, মো. মানিক ও মো. মুকুল বালাপাড়া ও এর আশপাশের এলাকায় সমতল ভূমি কেটে পুকুর খনন করে বালু ও মাটি উত্তোলন করে আসছিল।এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুস্ সালাম অভিযোগ করে বলেন অবৈধভাবে উত্তোলিত এসব বালু ও মাটি ভারী ট্রাক্টরে করে এলাকার রাস্তা দিয়ে অবাধে বহন করা হচ্ছে। এতে করে এলাকার রাস্তাঘাট দ্রুত নষ্ট হওয়াসহ এলাকায় ভূমি ধ্বসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর আগেও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে জানেরপাড় এলাকায় খড়খড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে অর্থদণ্ড ও ডেজর মেশিনসহ বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন